
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-নির্যাতনকে ‘জাতিগত শুদ্ধি অভিযান’ বলে অভিহিত করেছে মালয়েশিয়া। শনিবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অবিলম্বে এ ধরণের কার্যকলাপ বন্ধের আহ্বান জানানো হয়।
এদিকে, মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি সিঙ্গাপুরের চ্যানেল নিউজ এশিয়া টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে, রাখাইনে বৌদ্ধদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের বিরোধ বাড়ার ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। রাখাইনে সংঘাতকবলিত এলাকা পরিদর্শনে রয়েছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-নির্যাতন শুরু গত ৯ অক্টোবর। সেখানে এ পর্যন্ত ৮৬ জনের প্রাণহাণি এবং অন্তত ১০ হাজার রোহিঙ্গা ঘরছাড়া হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এ ঘটনায় মিয়ানমারের সমালোচনা করে মালয়েশিয়া। রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাতে গত সপ্তাহে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কুয়ালালামপুর।
প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বলা হয়, মালয়েশিয়াকে আসিয়ান নীতি মেনে চলতে হবে এবং সদস্য দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলানো থেকে রিরত থাকতে হবে।
এর কড়া জবাবে শনিবার মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-নির্যাতনকে ‘জাতিগত শুদ্ধি অভিযান’ বলে অভিহিত করেছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, জাতিগত নির্মূলকরণের মতো কার্যকলাপ এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এগুলো অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। কারণ, রোহিঙ্গা ইস্যু মালয়েশিয়ার নিরাপত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ।
এটি এখন একটি আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় ওই বিবৃতিতে।
এদিকে, মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি সিঙ্গাপুরের চ্যানেল নিউজ এশিয়া টিভিকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে, রাখাইনে বৌদ্ধদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের বিরোধ বাড়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দুষছেন। তারা রাখাইনের ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করছে।
অপরদিকে, রাখাইনে সংঘাতকবলিত এলাকা পরিদর্শনে গেছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার ব্যাপক নির্যাতন চালাচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করছে আনানের নেতৃত্বে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক কমিশন।
তথ্যসুত্রঃ দেশ টিভি বিডি ডট কম
0 comments:
Post a Comment